ক্যারিয়ার পরামর্শ : ১০ টি খুব সহজ উপায় অনুসরণ করে আপনি পৌছাতে পারেন উন্নতির শিখরে

আপনি আপনার পছন্দ ও দক্ষতা দেখে যে ক্যারিয়ারে যাত্রা শুরু করতে চান তা বের করার জন্য আপনার শিক্ষাগত পটেনশিয়াল, দক্ষতা, এবং আগ্রহ মহত্ত্বপূর্ণ।সম্পূর্ণ ক্যারিয়ার গড়তে একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রতিদিন নিজেকে আব্দুল কালামের মত উৎসাহিত করুন: “সাফল্য প্রাপ্তির জন্য সামর্থ্য প্রমাণ করার প্রয়োজন”। নিচে ১০ টি সহজ উপায় বলা হলো যেটা ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক হবে আপনার।

১. নির্বাচন বুদ্ধি: আপনি যে শ্রেণিতে ভালো বা আপনার দক্ষতাগুলির সাথে প্রাপ্ত হয়, তাতে আপনার ক্যারিয়ার নির্বাচন করুন।সরকারি ও বেসরকারি খাতে বর্তমানে সব থেকে ভালো চাহিদা সম্পন্ন স্কিল খোজে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে পাওয়া কিছু সু্যোগ সুবিধা ও সকল কিছু দেখে আপনি নির্বাচন করুন।

সরকারি চাকরি:

সরকারি চাকরি অনেকের জন্য আকর্ষণীয়, কারণ সেখানে নিয়মিত বেতন, সুযোগ-সুবিধা, ও প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শিক্ষাগত, স্বাস্থ্যসেবা, পুলিশ, সামাজিক কর্মকর্তা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরীক্ষা, ও ইন্টারভিউ প্রদান করতে হয়।

বেসরকারি চাকরি:

বেসরকারি সেক্টরও বেশি প্রাসঙ্গিক চাকরি সমূহ প্রদান করে। প্রযুক্তি, শিক্ষা, হেলথকেয়ার, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, ইত্যাদি বিভিন্ন শাখায় বেসরকারি চাকরি পাওয়া যায়। বেসরকারি সেক্টরে সাধারণভাবে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ প্রদর্শন প্রয়োজন।

২. সমৃদ্ধি ও চেষ্টা: আপনার স্বপ্নগুলি সমৃদ্ধি পেতে নিয়োজনী চেষ্টা করুন, যেটি আপনার ক্যারিয়ার প্রস্তুতি ও পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে। সমৃদ্ধি এবং চেষ্টা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংক্রিয়াবলি যা একে অপরের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সমৃদ্ধি মূলত আর্থিক স্থিতির একটি প্রকার পরিমাপ, যা আমাদের অর্জিত সম্পদের পরিমাপ করে। চেষ্টা, অপরদিকে, পরিশ্রমের একটি রূপ, যা আমরা কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করি। সমৃদ্ধি অর্জনে চেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, কারণ সেটি নতুন সৃজনশীল সম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৩. অফিসের বাইরে শিখুন: সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার এবং ব্যাপারিক বৃদ্ধির জন্য, অফিসের বাইরে নেওয়া সময়, যেখানে আপনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। অফিসের বাইরে একাধিক জিনিস শেখা যেতে পারে, যেমন নেটওয়ার্কিং, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, আর্থিক সম্পর্ক, যোগাযোগ দক্ষতা, নতুন জায়গা এবং সমৃদ্ধির সৃষ্টি, পেশাদার উন্নতি ইত্যাদি। এছাড়া, বাইরে থাকা সময়ে সঠিক সময় পরিচিতি এবং ব্যক্তিগত উন্নতির সুযোগও থাকে।

৪. নেটওয়ার্ক গড়ুত্বপূর্ণ: আপনার নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করুন এবং আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নেটওয়ার্ক সংরক্ষণ করুন। নতুন দক্ষতা অর্জন এবং বৃদ্ধির জন্য অনলাইন কোর্স অথবা প্রযুক্তি বা প্রফেশনাল প্রগতির জন্য শেখা এবং কাজ করা উপযুক্ত।

৫. শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ: অপ্রাপ্তি থাকলেও, নতুন দক্ষতা অর্জন করার জন্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি করুন।

৬. সংবাদ ও পেশাদার আচরণ: যে কোন পেশায়, ভাল সংবাদ বাচাল রাখা এবং পেশাদার আচরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

★ সংবাদ ও পেশাদার আচারণ ব্যক্তিগত এবং পেশাদার যাত্রার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বোঝায়। সংবাদ আচারণ ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, মিডিয়া ইন্টারভিউ, বার্তা প্রকাশনা ইত্যাদি যেসব স্থানে বিভিন্ন সময়ের মধ্যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়।

★ পেশাদার আচারণ পেশাদার স্থানে ব্যবহৃত ভাষার ধরন বোঝায়, যেমন বাণিজ্যিক আস্থা, পেশাদার নিয়ম নীতি, আপেক্ষিক ভাষা ইত্যাদি। পেশাদার আচারণ যেসব স্থানে ব্যবহৃত হয় তা আপেক্ষিক পরিচিতি এবং বৃদ্ধি বৃদ্ধি করে এবং পেশাদার প্রফেশনালিজম দেখায়।

৭. সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি করুন: সাক্ষাত্কারে যাওয়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য সময় দিন, যেগুলি আপনি উল্লেখ করতে চান, সেগুলি চিহ্নিত করুন এবং সবথেকে ভালো ডেলিভার করার চেষ্টা করুন। চাকরির জন্য প্রস্তুতি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য সময় দিন। সাক্ষাৎকারে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে প্রদর্শন করার সুযোগ প্রদান করুন।

৮. ক্যারিয়ার গোল সেট করুন: সুস্পষ্ট এবং সাধ্যমৌল্য সেট করুন, এটি আপনাকে আপনার ক্যারিয়ারে সঠিক দিকে এগিয়ে নিতে  সাহায্য করতে পারে। ক্যারিয়ার গোল নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা আপনার পেশা এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিকে নির্দেশনা দেয়। আপনি নিজের দক্ষতা, শৃঙ্খলা, আগ্রহ এবং মূল্যায়নের আলোকে আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। এটি সময়ের সাথে পরিবর্তন করতে পারে, কারণ আপনার পরিস্থিতি এবং আগ্রহে পরিবর্তন ঘটতে পারে। সঠিক পরামর্শ এবং প্রস্তুতি সাথে, আপনি আপনার ক্যারিয়ার গোল সাধন করতে সাহায্য পেতে পারেন।

৯. প্রশ্ন করা: সাক্ষাত্কারে প্রশ্ন করার জন্য সময় দিন, আপনি যেহেতু কর্মী হতে চান, আপনি আপনার স্থানান্তর বা প্রশ্ন নিশ্চিত করতে পারেন।

১০.ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ সেক্টর: গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার, মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার, মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, আদি পেশাদার পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন। এটি বর্তমানের সব থেকে চাহিদাপূর্ন স্কিল।

পরিশেষে এটায় বলতে পারি আপনারা আপনাদের ক্যারিয়ার পরামর্শ হিসাবে এগুলাকে ফলো করে নিজের ক্যারিয়ার খুব সহজে দাড় করাতে পারেন। কারন একটি ভালো ক্যারিয়ার সুখ আনে মনে, থাকলে মন ভালো জীবন সংসার হয় আলো।

 

Writer

Md Ashikur Rahman 

Intern, Content Writing Department

Requin BD

2 Comments

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *