বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। ২০০০ সালের আগেও গ্রাম বাংলায় কতই না মনমুগ্ধময় খেলা ছিল। ছোট বড় সকলে মিলে মিশে অবসর সময় গুলাকে উপভোগ করতো। গ্রামের মানুষের ভেতর তখন একাত্মতা দেখা যেত।
বর্তমানে সেগুলা হারিয়ে যাচ্ছে কালের পরিকর্মায়। সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানুষের জীবনধারণ পরিবর্তন এসেছে অসম্ভব। যেটা শুধু খেলা কেন্দ্রিক নয় ঐতিহ্য ,নান্দনিক উৎসব আরও অনেক দিকে।
টেকনোলজির যুগে এখন গ্রাম বাংলার লোকেরা ভুলতে বসেছে তাদের ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলা। ছোট বড় সবাই সোশাল মিডিয়া,মোবাইল ফোনে গেইম ইত্যাদিতে মগ্ন।
অথচ আগে ছোট বড় মানুষ সবাই তাদের সময় টাকে কতই না হাইজেনিক ভাবে লীড করতো। তারা সারাদিন ঘামঝারানো কাজ শেষে বিকালে ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, দড়ি টানা, টেক টেক নামের অনেক ঐতিহ্য নান্দনিক খেলা খেলে থাকতো।
যারা ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী তারা গুটি খেলতো,গোল্লাছুট থেকে শুরু করে, লাটিম ও বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলে থাকতো।
গোল্লাছুট: প্রাইমারি লেভেলে এই খেলা খেলেনি এমন কোন কিশোর কিশোরী পাওয়া মুশকিল আগের কার দিনে। বর্তামানে এই খেলা বিলুপ্তির পথে। এখানে দুইটা টিম থাকে,একটা গোল কেটে গোল গোল ঘুরে অন্য দলকে ফাকি দিয়ে সেখান থেকে বের হতে পারাটায় মুলত গোল্লাছুট খেলা।
ডাংগুলি: বাংলাদেশের সব জায়গাতেই অল্প বয়সি ছেলেদের জনপ্রিয় এই খেলাটি অঞ্চলভেদে ডাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত। তবে ডাঙ্গুলি নামেই এটি বেশি পরিচিত। আদতে ডাঙ্গুলি এখনকার জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের গ্রাম্য সংষ্করণ। ক্রিকেটের ব্যাট ও বলের মতো ডাঙ্গুলিতে আছে ডান্ডা ও গুলি। আরও মজার ব্যাপার যেটি তা হল, এখানেও ক্যাচ ধরা বা ডান্ডায় আঘাত করে আউট করার নিয়ম আছে। দুই থেকে পাঁচ-ছয়জন করে দুই দলে ভাগ হয়ে খেলতে পারে। খেলার উপকরণ প্রায় দেড় হাত লম্বা একটি লাঠি, একে বলে ডান্ডা। আরও লাগে তিন-চার ইঞ্চি সমান একটি শক্ত কাঠি যা গুলি, ফুলুক বা ফুত্তি নামে পরিচিত। খোলা মাঠে একটি ছোট্ট গর্ত করা হয় শুরুতেই। প্রথম দান পায় যে দল তাদের একজন গর্তের উপর ছোট কাঠিটি রেখে বড় লাঠির আগা দিয়ে সেটিকে যতদুর সম্ভব দুরে ছুঁড়ে মারে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা চারদিকে দাঁড়িয়ে সেটিকে লুফে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধরতে পারলেই খেলোয়াড় আউট। অন্যথায়, খেলোয়াড় বড় লাঠিটিকে আড়াআড়ি ভাবে রাখে। অপরপক্ষ, ছোটকাঠিটি যে জায়গায় পড়েছে সেখান থেকে ছুঁড়ে মারে গর্তের দিকে। কাঠিটি যদি বড় লাঠিটিকে আঘাত করে তবে প্রথম খেলোয়াড় আউট হয়ে যায়। তা না হলে প্রথম খেলোয়াড় পড়ে থাকা কাঠির কাছে গিয়ে বড় লাঠি দিয়ে বিশেষ কায়দায় আঘাত করে সেটিকে শূন্যে তোলে। শূন্যে থাকা অবস্থায় বড় লাঠি দিয়ে আঘাত করে দুরে পাঠিয়ে দেয়। আগের মতোই অন্যেরা সেটা ক্যাচ ধরে আউট করার চেষ্টা করে ওই ক্রিকেটের নিয়মে। কেউ আউট না হলে প্রথম খেলোয়াড় বড় লাঠিটি গর্তের উপর রাখে আড়াআড়ি ভাবে। দুর থেকে অপরপক্ষ কাঠিটি ছুঁড়ে যদি বড় লাঠিকে আঘাত করতে পারে, তাহলেও মূল খেলোয়াড় আউট।
দ্বিতীয় দফায় যেখানে পড়লো ছোট কাঠিটি সেখান থেকে গর্তের দুরত্ব মাপা হয় লম্বা লাঠিটি দিয়ে – মুনা, ধুনা, তিনা, চারা, পাঁচা, ছৈ, গৈ। এভাবে কয়-লাঠি গোনা হলো এবং প্রতিপক্ষের খেলার সময় ও দুজনের গোনাগুনতির পরিমাণের ওপরই নির্ভর করে খেলার জয় পরাজয়।
দাগ বুড়িচ: এই খেলাটা বাংলার কিশোর কিশোরী দের ভেতর বেশি খেলতে দেখা যেত। এখানেও একটা গোল করে লম্বা দাগ দিয়ে একদম অন্য দলকে দম দিয়ে ডাকের মাধ্যমে অন্যকে ছুয়ে স্পর্শ করে বাদ দিয়ে পারাটা দাগ বুড়িচ।
ঘুড়ি উড়ানো: ঘুড়ি বা আঞ্চলিক ভাষায় গুড্ডি কেবল আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় খেলা। চীন, জাপানসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বিচিত্র ধরনের ঘুড়ি দেখা যায়। আমোদ-প্রমোদের খেলা হিসেবে এটি এখনও শীর্ষ স্থানীয়। গ্রামাঞ্চলে একে গুড্ডি খেলা বলে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ধান-পাট লাগানোর পর কৃষকরা যখন অবসর থাকে, তখন ঘুড়ি উড়ানোর ধুম পড়ে যায়। লাল-নীল, সাদা-কালো, সবুজ-হলুদ, বেগুনি কাগজের ঘুড়িতে তখন ছেয়ে যায় আকাশ। বিস্তৃত আকাশের পটে সে দৃশ্য যে কত সুন্দর তা ভাষায় বর্ণনা করা যায়না। পুরুষ-মহিলা, ছেলে-বুড়ো সকলেই আনন্দের সাথে আকাশে তাকিয়ে এই দৃশ্য উপভোগ করে।
কখনো রঙ মাখানো মাঞ্জা সুতো, কখনো বিনা রঙের সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। ডিমের কুসুম, সাবু সিদ্ধ, ভাতের ফ্যান, অ্যারারুট (কাপড়ের মাড় দিতে ব্যবহৃত হয়), গাবসিদ্ধ, তেঁতুল-বিচি সিদ্ধ, বালি ইত্যাদির সঙ্গে কাঁচের মিহি গুড়ো মিশিয়ে দেয়া হয় সরু, চিকন ও মোটা সুতায়। একজনের ঘুড়ির সুতো দিয়ে অন্যের ঘুড়ির সুতোয় প্যাঁচ লাগিয়ে কেটে দেয়া এই গুড্ডি খেলার একটি আকর্ষণীয় বিষয়। আর এই উদ্দেশ্যেই ঘুড়ির মালিকরা কাঁচ মিহি গুড়ো করে, আঠায় মিশিয়ে সুতোয় লাগায়। যার সুতার ধার বেশি সে সারাক্ষণ অন্যের গুড্ডির সাথে প্যাঁচ খেলে ঘুড়ির সুতা কেটে দেয়। এই সুতা-কাটা ঘুড়িগুলো বাতাসে ভাসতে ভাসতে চার-পাঁচ মাইল দুরেও চলে যায়। আর সেই সুতা-কাটা ঘুড়ি ধরারা জন্য বাচ্চা ছেলে থেকে বুড়োরা অব্দি মাইলের পর মাইল দৌঁড়ায়। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এ ধরণের ঘুড়ি যে ধরতে পারে সেটা তারই হয়। সব সুতো কাটা ঘুড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। কোন ঘুড়ি বিলের পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে, কোনটি গাছ বা খুঁটির আগায় বেঁধে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু এমন ঘুড়ি উদ্ধারের জন্য শিশু-কিশোরদের চেষ্টার অন্ত থাকে না।
ঘুড়ি খেলা প্রথম কোথায় আবিষ্কৃত হয় তাএখনো ঠিক জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন চীনদেশে প্রথম ঘুড়ি খেলা চালু হয়। কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও হামামটসের শহরে ঘুড়ি খেলা উপলক্ষ্যে জাতীয় ছুটি উদযাপিত হয় খেলা আরম্ভের প্রথম দিনটিতে। আমাদের দেশে এখনও এই খেলার চল উঠে যায়নি, তবে আগের চেয়ে কম হারে ঘুড়ি উড়ানো হয়।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা ধরনের ঘুড়ির প্রচলন দেখা যায়। এগুলোর আকৃতি ও বানানোর কৌশল একটি আরেকটির থেকে সমপূর্ণ আলাদা। কোনটিতে লেজ থাকে, কোনটি লেজ ছাড়া। আমাদের দেশে সচরাচর যে সব ঘুড়ি দেখা যায় সেগুলো হলো – চং গুড্ডি, পতিনা গুড্ডি, নেংটা গুড্ডি, শকুনি গুড্ডি, ফেইচকা গুড্ডি, সাপ গুড্ডি, ডোল গুড্ডি, ডোল গুড্ডি, মানুষ গুড্ডি ইত্যাদি।
কানামাছি: কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছো। ছড়াটি নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়! হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছ, এখন বলছি, কানামাছি খেলার কথা। এ খেলায় কাপড় দিয়ে একজনের চোখ বেঁধে দেয়া হয়, সে অন্য বন্ধুদের ধরতে চেষ্টা করে। যার চোখ বাঁধা হয় সে হয় ‘কানা’, অন্যরা ‘মাছি’র মতো তার চারদিক ঘিরে কানামাছি ছড়া বলতে বলতে তার গায়ে টোকা দেয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় সে অন্যদের ধরার চেষ্টা করে। সে যদি কাউকে ধরতে পারে এবং বলতে পারে তার নাম তবে ধৃত ব্যাক্তিকে কানামাছি সাজতে হয়।
গোলাপ-টগর: গোলাপ-টগর কোথাও ফুলটোক্কা, বউরাণী আবার কোথাও টুকাটুকি নামে পরিচিত। অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েরা সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে দুই দলে ভাগ হয়। দলের প্রধান দুইজনকে বলে রাজা। খেলার শুরুতে রাজা ফুল-ফলের নামে নিজ দলের সদস্যদের নাম ঠিক করে দেয়। তারপর সে বিপক্ষ দলের যেকোন একজনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে, ‘আয়রে আমার গোলাপ ফুল, বা আয়রে আমার টগর ফুল’ ইত্যাদি নামে ডাক দেয়। সে তখন চুপিসারে এসে চোখবন্ধ যার তার কপালে মৃদু টোকা দিয়ে নিজ অবস্থানে ফিরে যায়। এরপর চোখ খুলে দিলে ওই খেলোয়াড় যে টোকা দিয়ে গেল তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করে। সফল হলে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এবার বিপক্ষের রাজা একই নিয়েম অনুসরণ করে। এভাবে লাফ দিয়ে মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের জমি দখল না করা পর্যন্ত খেলা চলতে থাকে।
রুমাল চুরি: সব বন্ধুরা মিলে গোল হয়ে বসে খেলতে হয় এই খেলাটি। প্রথমে একজন ‘চোর’ হয়, অন্যেরা কেন্দ্রের দিকে মুখ করে গোল হয়ে বসে। চোর হাতে রুমাল নিয়ে চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে সুবিধামতো একজনের পেছনে অলক্ষ্যে সেটা রেখে দেয়। সে টের না পেলে চোর ঠিক পিছনে এক পাক ঘুরে এসে তার পিঠে কিল-চাপড় দেয়। আগে টের পেয়ে গেলে কিম্বা পরে মার খেয়ে রুমাল নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। এবার সে হয় চোর আর তার শুন্য জায়গায় বসে পড়ে আগের খেলোয়াড়।
লাটিম খেলা: এই খেলেটা মুলত কিশোর কেন্দ্রিক খেলা। এখানে অনেক গুলা লাটিম একজায়গায় রেখে সেখানে অন্য একটা লাটিম দিয়ে আঘাত করে সেখান থেকে নিতে পারাটাই লাটিম খেলা।
ক্রিকেট: বর্তমান সময়ে যদিও বিশ্বে ক্রিকেট খেলার পরিচালন আছে কিন্তু আগেরকার দিনে বাচ্চারা বা ছোটরা স্কুল শেষ করে দুপুরের খাবার-দাবার শেষে তারা সকলে একত্রিত হতো ছোট্ট একটি মাঠ ক্রিকেট খেলার জন্য। ক্রিকেট খেলার ধরন ছিল বিভিন্ন রকম। কখনো বা গাছ-গাছালির মাঝে গাছ কে স্ট্যাম্প করে ফেলা হতো ক্রিকেট। কখনো বা বল না থাকলে লেবুকে বল বানিয়ে খেলা হতো ক্রিকেট। এইগুলা ছিল গ্রাম বাংলার একটি অত্যন্ত সুন্দর দৃশ্য। যা বর্তমানে দেখা যায় না।
ফুটবল: বর্তমান সময়ে গ্রামীন জীবনে ফুটবল খেলার প্রচলন থাকলেও আগেরকার দিনের ফুটবল খেলার ধরন ছিল অন্যরকম। আগেরকার দিনের ফুটবল খেলা হতো একটি গ্রামের সাথে অন্য গ্রামের। যেই খেলা দেখতে মাঠের পাশে ভিড় হতো হাজার হাজার দর্শকের। বর্তমানে সভ্যতার উন্নতির ফলে মাঠ থেকে কমে গিয়েছে সেই সব তরুণ প্রজন্মের প্লেয়ার। আবার বাচ্চাদের ভেতর ফুটবলের প্রচলন ছিল অন্যরকম। তখনকার দিনে ফুটবলের খুব একটা প্রচলন ছিল না তাই বাচ্চারা খুব সহজেই ফুটবল খেলার জন্য একটি লেবু বা কোন গোল কিছুকে নিয়েই তারা ফুটবল বানিয়ে খেলা শুরু করতো।
কাবাডি: কাবাডি একটি জনপ্রিয় গ্রাম খেলা, যা দুই দলের মধ্যে খেলা হয়। এই খেলাটি প্রাচীন সময়ে এবং গ্রাম এলাকার সাংস্কৃতিক অংশ হিসেবে পরিচিত। কাবাডি খেলাটি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। আগেরকার দিনের যারা শারীরিক কষ্ট করত বা শরীরের দিক থেকে বড় ছিল তারা কাবাডি সবথেকে বেশি ভালো খেলতো। এই খেলা দেখতেও মাঠের পাশে ভিড় হতো হাজার হাজার দর্শকের তারা বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসতো এবং এই খেলাটি উপভোগ করতো। এই খেলাটি সাধারণত বিকাল টাইমে অনুষ্ঠিত করা হতো।
হাডুডু: হাডুডু বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রাচীন গেম, যেখানে একটি ছোট গোল এবং দুই দলের মধ্যে খেলা হয়। হাডুডুর সাথে কাবাডি রয়েছে কিছুটা মিল। একই রকম মাঠ তৈরি করে খেলা হয় হাডুডু ও কাবাডি। হাডুডু খেলার প্রচলন ছিল গ্রাম বাংলার সমাজ এ সবথেকে বেশি। বড় থেকে শুরু করে যুবকরাও হাডুডু খেলতো। আয়তাকার বর্গের মতো কোর্ট কেটে মাঝখানে একটি দাগ দিয়ে হাডুডু মাঠ তৈরি করা হয়। দাগের দুই পাশে থাকে দুই দলের প্লেয়া র।
খোককট: খোককট বাংলাদেশের প্রাচীন এবং জনপ্রিয় বৃহত্তর ছেলেদের মধ্যে খেলা হয়। এটি হাডুডুর মতো একটি প্রজাতন্ত্রিক গেম, যা জীবনের বিভিন্ন মামলা ও সমস্যার সমাধানের জন্য খেলা হয়।
সাপের কোক দৌড়: এটি একটি অনুষ্ঠানিক খেলা, যেখানে সাপের কোক দিয়ে প্রাণীদের দৌড়ানো হয়। এটি অধিকাংশই গ্রাম এলাকার প্রাণী উৎসবে খেলা হয়।
মুদু গরম: এটি একটি প্রচুর পুরানো গ্রাম খেলা, যেখানে একটি মুদু (বল) দিয়ে দুই দলের মধ্যে খেলা হয়।
হাড়ুড় দাঙ্গা: এটি একটি লোকপ্রিয় খেলা, যেখানে দুটি দল এক অপরের সাথে হাড়ুড় বা লক্ষ্য গোল করতে চেষ্টা করে।
পাথর পাড়া: গ্রামে সাধারণভাবে দুটি দল এক অপরের সাথে পাথর পাড়া খেলে, যেখানে পাথরগুলি দ্বিধা হতে পারে এবং জিততে হতে পারে যে দল আরও পাথর ব্যবহার করেছে।
গোলাপখেলা: এটি বর্ষণ বা উৎসবে খেলা হয়, যেখানে লোকেরা গোলাপের সাথে একমত হয়ে খেলে।
হাড়ুড়খেলা: এটি একটি মাত্র মহিলাদের খেলা, যেখানে একটি প্রতিযোগিতামুখী খেলোয়াড়ি ব্যবহার করে একটি হাড়ুড় বা প্রক্ষেপণ দ্বারা লক্ষ্য গোল করে।
এই গ্রাম খেলাগুলি বাংলাদেশের গ্রাম এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জীবনধারা সম্পর্কে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত এবং আপনি গ্রাম বাংলার ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করতে পারে।
Writer
Md Ashikur Rahman
Intern, Content Writing Department
Requin BD
Write a Comment