দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

বাংলাদেশের একটি নিয়মিত সংবাদের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই চোখের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সংবাদ পরিলক্ষিত হয়। এটি যেন বাংলাদেশের মত দুর্বল অর্থনীতির দেশে এক বিশাল বড় সমস্যা—যা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে নিজেদের স্বার্থে। দ্রব্যমূল্য একবার বেড়ে গেলে তা আর নিয়ন্ত্রণে আসে না। এটা নিয়ে সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম :-

বর্তমানে,  দেশি পেঁয়াজ ৬০-৮০,আলু ৪৫-৬০, চিনি ১৩০-১৪০, ছোলা ৮০-৮৫, বেগুন ৪০-৬০, আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫-৮৫, দেশি রসুন  ১৪০-১৬০, দেশি শুকনা মরিচ ৩৯০-৪২০, ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২১০, খাসির মাংস ১ হাজার-১ হাজার ১০০, গরুর গোশত ৭৫০-৭৮০ টাকা, ব্রয়লার ডিম  ৪৭-৫০ টাকা হালি, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫-১৮৫ ও সরিষার তেল ৩৬০, দেশি আদা ৩২০-৩৪০, আয়োডিনযুক্ত লবণ ৩৮-৪২, মসুর ডাল ১৩০-১৩৫ টাকা। (সূত্র: প্রথম আলো[১])

বাজারগুলোতে সরকারের প্রশাসন দ্বারা অনিয়ম রুখতে পারলেই বাজারদাম স্থিতিশীল হতে বাধ্য। 

দ্রব্যমুল্যের এই উর্ধ্বগতির কারণ কী তাহলে?

বর্তমানে বাংলাদেশে পণ্য দ্রব্যের এত মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্যপণ্য, কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যের দামও বেড়েছে। এছাড়াও রয়েছে টাকার অবমূল্যায়ন,টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানিকৃত পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ছে।বর্তমানে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সমাজের একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার বছর আগের দ্রব্যমূল্য আর বর্তমানে দ্রব্যমূল্য আকাশ-পাতাল ব্যবধান। সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি হলে, চাহিদা বেড়ে জোগান কম হলে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কখনো অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। সেটা হতে পারে সামাজিক বৈষম্যের ফলে কিংবা অসাধু ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির কারণে। তা যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হয়। তবে সাধারণ জনগণের জন্য বিষয়টি দুঃখজনক হয়ে দাঁড়ায়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য অন্যতম। মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে। এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে মানুষ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। যার মধ্যে অন্যতম খাদ্য। খাদ্য ছাড়া মানুষের একদিন চলে না। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় অন্যতম দ্রব্য চাল, ডাল, মাছ, মাংস, আলু, তেল, মসলাজাতীয় দ্রব্য, শাক-সবজি ইত্যাদি।

দ্রব্যমূল্য বাড়লে সাধারণত ধনী শ্রেণির মানুষ কিছু মনে করে না। তবে গরিব শ্রেণির মানুষ বিপাকে পড়ে। পেঁয়াজ সংকটে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বি হয়। আবার কিছুদিন ধরে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা সাধারণ জনগণের জন্য স্বস্তির সংবাদ। কিন্তু মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়নও জরুরি। এ ছাড়া খুঁজে বের করা প্রয়োজন বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনের রহস্যগুলোকে।

অর্থনীতিতে বলা হয়, চাহিদা বাড়লে মূল্য বাড়ে। কিন্তু যদি পর্যাপ্ত জোগান থাকে তাহলে দাম বাড়ার কথা নয়। বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যমতে, বাজারে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। তাহলে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিক আসেই না বরং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ করে না আবার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়ায়। যার প্রভাব পড়ে খেটে খাওয়া জনগণের ওপর। এর প্রভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। লোভে পড়া মানুষের লোভ কমানো যায়। কিন্তু পেটের দায়ে চুরি করে তা হলে কোনো উপায় নেই। পেটে খাবার না এলে নীতিবাক্য কাজে আসে না। বাংলাদেশে আগে ঘটে যাওয়া দুর্ভিক্ষই তার প্রমাণ। শুধু অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হলে তাও ভুল হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষ চায় আরামদায়ক জীবনযাপন করতে। যত কম পরিশ্রমে সম্ভব, তত ভালো। ধনী গরিবের বৈষম্য এ দেশে এখনো বিদ্যমান। তার অন্যতম কারণ হলো অর্থ ও প্রতিপত্তি।

সারাদিন মাঠে-ঘাটে কাজ করে দিনে শেষে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করে যখন দেখে অল্প পরিশ্রম করে হাজার হাজার টাকা পায় তখন তারও ইচ্ছা জাগে বেশি আয় করার। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেকের ফসলি জমি নষ্ট হয়, অনেকে ঋণে জর্জরিত থাকে আবার সবার ভালো ফলন হয় না। তখন সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ও মজুরি ও পাইকারি বৃদ্ধি পায়। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যে ধানের জন্য কৃষকরা পর্যাপ্ত দাম পান না। এতে কিন্তু বাজারে চালের দাম কমে না। ফলে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দাম বৃদ্ধি করে।

আমি মনে করি, নিম্ন আয়ের অর্থনীতির জন্য এটি একটি খারাপ খবর। কেননা অন্যান্য দেশের তুলনায় খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে তাদের চাহিদা যেমন বেশি হতে পারে, আবার চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই তারা বৈশ্বিক বাজার থেকে ছিটকে যেতে পারে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে খাদ্যপণ্যের বাজার সম্পর্কিত আর্থিক অনুমান; যা সম্প্রতি পুনর্জাগরণের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। চলতি শতকের শূণ্য দশকের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নিয়ন্ত্রণহীনতার পর খাদ্যদ্রব্য রীতিমতো উচ্চসম্পদে পরিণত হয়। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-প্রমাণও রয়েছে যে বিষয়টি ২০০৭-০৯ সাল পর্যন্ত খাদ্যপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতার নেপথ্যে প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খাদ্যপণ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে খানিকটা কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে মহামারী শুরুর পর এ ধারণা বদলে যায়।আমরা দেখি বড় ধরনের অস্থিরতা সত্ত্বেও ২০২১ সালজুড়ে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যের বাজারগুলো ইতিবাচক ছিল। এর মানে আর্থিক বিনিয়োগকারীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত ত্রুটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সস্তা ঋণের কারণে গত বছর এ ধরনের বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

মধ্য মেয়াদে খাদ্য সরবরাহ ও দামকে প্রভাবিত করে এমন কিছু পদ্ধতিগত শক্তির বিপরীতে নীতিনির্ধারকরা সহজেই মজুদ এবং অনুমানের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তবে এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই সমস্যা মেনে নিয়ে তা চিহ্নিত ও সমাধান করতে উদ্যোগী হওয়া চাই। সরকারগুলো যতদিন না পর্যন্ত এ উদ্যোগ গ্রহণ করবে, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ততদিন পর্যন্ত বিশ্বের দরিদ্রগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করতে থাকবে। 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্নমধ্যবিত্ত। এদেশের সিংহভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়। এমতাবস্থায় নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে এসব মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের মূল্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই তুলনায় মানুষের আয় দ্রব্যমূল্যের সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের সিংহভাগ মানুষ তাদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম হয়ে পড়ছে। মানুষ এখন মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতে পারছে না। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অনেকে তিন বেলা খাবারও  জোটাতে পারছেন না। একসময় শোনা যেত বাংলার সমৃদ্ধির কথা। গোলাভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল। বিখ্যাত শাসক শায়েস্তা খানের আমলে এক টাকায় পাওয়া যেত আট মণ চাল। বাংলার মানুষের ছিল না খাদ্যের অভাব। তারা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করত। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। বেড়েছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির হার; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অধিক মূল্যবৃদ্ধি যেন এদেশের মানুষের কাছে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি মানুষের জীবনযাপন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। বর্তমানে প্রতি কেজি চালের দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের চাল কেনাও হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদানকৃত চালের অংশও পাচ্ছে না তারা। কিছু সুবিধাবাদী মানুষের হস্তক্ষেপের ফলে গরিব অসহায় মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চালসহ অন্যান্য মালামাল তারা সম্পূর্ণ পরিমাণ নিতে পারছে না। নিত্যদিনে রান্না করার প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে তেল, পেঁয়াজ, সবজি, চাল, ডাল, চিনি, লাকড়ি ইত্যাদি ও নানা ধরনের শাকসবজি ব্যবহৃত হয়। উক্ত শাকসবজিগুলোর দামও লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। 

দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য হলো আটা। মানুষের খাদ্য তালিকায় ভাতের পর রুটি থাকে, যা আটা বা গম দিয়ে তৈরি। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আটা ও গমের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরে আটার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। আটার মূল্য ক্রমান্বয়ে  বৃদ্ধির ফলে আটাজাতীয় খাদ্যের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টন কমে গেছে।  মাছে ভাতে বাঙালি হিসেবে বিশ্বে আমাদের খ্যাতি রয়েছে; কিন্তু বর্তমানে মাছের অত্যধিক মূল্যের কারণে দেশের অধিকাংশ সাধারণ জনগণের মাছ কেনার সামর্থ্য নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অত্যধিক মূল্যের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। 

শিক্ষাপণ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় যে, এক বছরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। এছাড়া নিউজপ্রিন্টের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন গুণ। ফলে শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহের মূল্য দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে বইয়ের মূল্য প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিত্সা ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম—সবকিছুরই মূল্য সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জ্বালানির ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাবে বাস, ট্রাক, নৌযান ও জ্বালানিচালিত যানবাহনের ভাড়াও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের  অন্যতম উপাদান জ্বালানি তেল। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে লোডশেডিংয়ের হার বাড়ছে এবং বিদ্যুতের ইউনিটের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অয়েজুল হক নামে এক চাকরিজীবি বলেন, তেল গ্যাস থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। সাধারণ মানুষ অসাধারণ হতে পারছে না বলে তাদের কষ্টের সীমা নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় – প্রবাদটি আজ চরম সত্য হয়ে ঘাড়ে বসেছে।

নগরীর একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা বনানী আফরোজ বলেন, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের বিরূপ প্রভাব পড়েছে অতিদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। আলু ছাড়া সব পণ্যের দাম বেশি। যে কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন আলু খাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যাঁতাকলে অসহায় মানুষের দুঃখের কথা বলার কোনো জায়গাও নেই।

আমরা আসলে সব বিষয়ের সাথে গা ভাসিয়ে চলছি, প্রবাহিত স্রোতকে আটকাচ্ছি না। এখন সময় না তো, আর কখন? অর্থের মান কম বা বেশি সবসময় থাকলেও, এইভাবে উর্ধ্বগতি বাড়লে খাবার ক্রয় করে ক্ষুধা মেটাতে পারব তো!

 

Writer

Asha Akter 

Intern, Content Writing Department 

Requin BD

955 Comments

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *